১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ৫৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।
চলতি বন্যায় উপজেলার প্রায় ৫৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে ৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি মাদ্রাসা ও ১ টি কলেজ রয়েছে, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয় ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, পুনরায় মেরামত না কারা পর্যন্ত পাঠদান সম্ভব নয় । দীর্ঘ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশংকা রয়েছে । তবে স্কুল-কলেজ খুললেই বুঝা যাবে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে কি না ?
১২ সেপ্টেম্বর থেক সকল স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষক সহ সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে । যে সব বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেনি সেই গুলো পরিস্কার পরিছন্ন করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পাঠদানের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে ।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৫৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে । বন্যার পানি উঠায় ১৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এতে ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা । দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেও তারা স্কুলে যেতে পারবে না বলে অনেকটাই হতাশায় পরেছে ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে-ভাটবেড়া, মুলবেড়া, কোনাবাড়ি, পূর্ব বংকিরাট, পশ্চিম বংকিরাট, ক্ষুদ্র বংকিরাট, মহেশপুর, খোজাখালী, মধুকোলা, পশ্চিম সাতবাড়িয়া, সাতবিলা, সিমলা সোনাভান, শিবপুর, নরসিংহপাড়া, চকপঙ্গাসী, ভাদালিয়াকান্দি, গোয়ালজানি ও দূর্গাপুর উত্তর সরকারি প্রার্থমীক বিদ্যালয় । তবে উচ্চ জায়গা দেখে ঘর ভারা নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ওইসব বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু করার চিন্তভাবনা চলছে ।
উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম বাচ্চু জানান, করোনার কারনে সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিলো । আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খোলার কথা শুনে ছাত্র-শিক্ষক ও অবিভাবকদের মধ্যে একটা আনন্দ বিরাজ করছে কিন্তু প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলেের বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার পানি উঠায় দীর্ঘদিন পর স্কুল- কলেজ খুললেও ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা, দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশংকাও করেন তিনি ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সতমিতির সভাপতি ও ভাটবেড়া মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার এমন সিন্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই । তবে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় উপজেলার ২৭৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ২২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, বাকী ৫৫ টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠায় তা প্রস্তুত কারা সম্ভব হয়নি ।
তিনি আরো বলেন বন্যার কারনে ১৮ টি স্কুল পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এছাড়াও চারপাশে পানি রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি বিদ্যালয়ের । শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে সঠিকভাবে জানা যাবে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে কি না ?
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে । সোমবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধনদের ডেকে মিটিং এর মাধ্যমে সরকারী সব নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক শিক্ষক- শিক্ষার্থী মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে প্রবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।