হবিগঞ্জের মাধবপুরে একমাত্র ছেলের হাতে প্রায় মার খেতে হয় এক অসহায় বাবার। ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন অসহায় বাবা। এমনই এক হতভাগ্য বাবা কাঁদতে কাঁদতে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনির কাছে তিনি এ লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের সুমন্ত সরকার (৮০)। লিখিত অভিযোগে তিনি জানায়, তার একমাত্র ছেলে সুধাম সরকার (৩৪) তার ভোরন পোষণ করে না,এমনি কি তাকে খেতে দেয়না, প্রায়ই মারধর করে,গালিগালাজ করে। নেশাগ্রস্থ হয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরকরা সহ নেশার টাকার জন্য মারধর করে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানালেও কোন সুরাহা হয়নি।
একসময় ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নিজে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। সেখানেও ছেলে নির্যাতন করতে থাকেন। নিরূপায় হয়ে নেশাগ্রস্থা ছেলের কাছ থেকে মুক্ত থাকতে তিনি অভিযোগ করেন। আইনের মাধ্যমে ছেলের শাস্তি দাবী করেন নির্যাতিত ওই বাবা।
অভিযোগকারীর ভাতিজা কালিপদ সরকার বলেন,সুধাম সরকার আমার চাচাতো ভাই।সে আমার চাচাকে নেশার টাকার জন্য মারধর করাসহ নানা অত্যাচার করে আসছে।আজ ২বছর ধরে চাচা বাড়িতে থাকেন না। তারপরও সে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বৃদ্ধ চাচাকে নিয়ে ইউএনও’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান,কোন আইন দ্বারা এমন অপরাধ বন্ধ করা কঠিন। এর জন্য দরকার ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। গতকাল আমি সারাদিন অফিসে ছিলাম না।যদি এধরণের কোন অভিযোগ হয়ে থাকে তবে আমি চেষ্টা করবো উভয় পক্ষকে ঢেকে এনে সমাধান করার।