যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, অনেক পরিবহন নিয়ম ও শর্ত মেনে চলছে না।
মন্ত্রী এই বিষয়ে পরিবহন ও মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএ’কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণ কাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে বলে জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহি যানবাহন সমূহ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহি যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
মন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দক্ষতার সাথে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহবান জানান।
গ্রামে গ্রামে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন মনে করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এমতাবস্থায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী এ অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনরূপ শৈথিল্য না দেখাতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া,দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা,বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন, তাই শোকের এ মাসে সাহায্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।