লক্ষ্মীপুরের রায়পুর জনতা ব্যাংক শাখার সেকেন্ড কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।
জানা যায়, ফয়েজ আহাম্মদ রায়পুর উপজেলার জনতা ব্যাংক শাখায় প্রায় ৬ বছর যাবত কর্মরত ছিলেন।
তিনি ব্যাংকের ঋন শাখার দায়িত্ব থাকাবস্থায় নামে বেনামে ভুয়া ঋন পাশ করিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
সূত্রে জানা যায়, ফয়েজ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ঋন পাশ করে তার নিজ বাড়ীর সামনে একটি মার্কেট করেন। যা বর্তমানে রায়পুর জনতা ব্যাংক শাখার কব্জায় রয়েছে।
সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার শারমিন ভাট রায়পুর শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় অধিকাংশ ভুয়া ঋণ অনুমোদন করে নেন এই ফয়েজ।
তবে কোনো গ্রাহক ব্যাংক কতৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেননি বলে মন্তব্য করেন বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক তারেক মোহাম্মদ মুছা।
গত ২ মাস আগে স্ত্রীর চিকিৎসার নামকরে ৫ দিনের ছুটি নেন ফয়েজ। পরে সুযোগ বুজে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ত্যাগ করেন তিনি। বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে স্থানীয় জনসাধারনের মুখে শোনা যাচ্ছে।
প্রায় ২ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পরও রহস্যজনকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ব্যাংক কতৃপক্ষ।
ফয়েজ রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামে মৃত জয়নাল জমাদারের ছেলে।
কয়েকজন গ্রাহক জানান, সরকারি চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণের দায়িত্ব ছিলেন ফয়েজ। সেই সুবাধে সুযোগ বুজে বহু মানুষের নামে ভুয়া ঋন পাশ করে তা আত্মসাৎ করেন তিনি। অথচ এসব ঋণের ব্যাপারে গ্রাহকরা কিছুই জানতেন না।
ভুক্তোভোগী কয়েকজন গ্রাহক জানান,ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তারেক মোহাম্মদ মুছা ঋন গ্রহীতা কয়েকজনকে অফিসে ডেকে নেন। ঋণের বিষয়ে সত্যতা যাচাই বাছাই করলে জালিয়াতির বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে পাশ হওয়া ভুয়া ঋণের কোনো প্রভাব তাদের ওপর পরবে না মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক রায়পুর শাখার ব্যবস্থাপক তারেক মোহাম্মদ মুছা জানান, গ্রাহকের কোনো টাকা আত্মসাৎ করেনি ফয়েজ।
সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার শারমিন ভাট বলেন,ফয়েজ খুবই অনেস্ট ছিল। সে কোনো গ্রাহকের আমানতের টাকা আত্মসাৎ করেনি।তবে শুনেছি বিভিন্ন গ্রাহকদের সাথে ফয়েজের ভালো সম্পর্ক থাকায় তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সে। সেই টাকা গ্রাহকরা নিজেই ঋণ করে তা ফয়েজকে দিয়েছে। আমার সময়ে আমি কোনো কাগজপত্র যাচাই ছাড়া ঋণ অনুমোদন করিনি।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার একটি গণমাধ্যমকে জানান,জনতা ব্যাংকের লোন অফিসার ফয়েজ আহাম্মদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইনত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।