লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান খাঁন চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় তার নিজ গৃহে মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৫ বছর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক অসুস্থতায় তিনি ভুগছিলেন। বাধক্যজনিত কারণে সকাল ৭টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলো ঢলে পড়েন। বাদ আসর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে খাসের হাট বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জানা যায়, ওসমান খাঁন ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে মিশে যান। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা চলাকালে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। দেশ স্বাধীনের তিন বছর পর তিনি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ায় জেলায় প্রকৌশলী হিসেবে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকুরী ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন।
কর্মজীবন থেকে সরে এসে নিজ এলাকার উন্নয়নে ফের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বৃহত্তর চরবংশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান খাঁনের বড় ছেলে মোঃ সেলিম খাঁন উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক সদস্য। মেজো ছেলে সোহেল খাঁন উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
ছোট ছেলে জসিম খাঁন অগ্রনী ব্যাংকর পানপাড়া এজেন্ট শাখার ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। বড় মেয়ে ফাতেমা খানম গভমেন্ট সবুজবাগ উচ্চ বিদ্যালয় সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ছোট মেয়ে সালমা খানম গৃহিণী হিসেবে রয়েছে।