লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)।
উপজেলার বিআরডিবির কার্যালয়ে অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ে ৮ মার্চ থেকে শুরু করে ১০ মার্চ পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিনদিনের একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিআরডিবি কতৃপক্ষ। এতে ২৫ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তেল, মসলা, ডাল জাতীয় ফসল ও কেঁচো সার উৎপাদনের ওপর এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনজন দাস, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন,কুমিল্লা অঞ্চলের বিআরডিবি’র শস্য উন্নয়ন কর্মকর্তা ফায়েজউল্যাহ ও শস্য উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ সোহেল রানা।
প্রশিক্ষণের সমাপ্তি করেন বিআরডিবি’র লক্ষ্মীপুর
জেলার উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া।
উপজেলা বিআরডিবির সূত্র জানায়, দেশের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের চিহ্নিত করে সমিতি গঠন করা হয়। পরে সমিতির সদস্যদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)।
সূত্র আরও জানায়, রায়পুর উপজেলায় বিআরডিবির অধীনে অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রকল্পে মোট ২৮টি দল রয়েছে। প্রত্যেক দলের সদস্যদের থেকে বাছাই করা ৫ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তির মাধ্যমে দল পরিচালনা করা হয়। প্রত্যেকটি দলের সদস্যদের আবার বাছাই করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষকদের মাঝে সরল সুদে ৪% হারে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিতে আশা কৃষকদের জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া খাতা ও কলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণও উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)’র রায়পুর উপজেলার সমবায় সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান খাঁন জানান, প্রশিক্ষণটি সত্যিই প্রশসংনীয়। এটি কৃষকদের উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে প্রান্তিক কৃষকদের উচিত প্রশিক্ষণটি গ্রহণ করা।
উপজেলা বিআরডিবি’র কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার জানান, উপজেলায় সরল সুদে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা কৃষকদের মাঝে ঋন বিতরণ করে বিআরডিবি। প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষক যাতে ঋণের টাকা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারে এটি নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে মূলত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।