ভোর হলেই শুরু হবে দেশের চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন।এরই মধ্যে বহিরাগতদের উপস্থিতি বেড়েছে লক্ষ্মীপুরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী,উত্তর হামছাদী ও ভবানীগঞ্জ ইউপিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ রয়েছে।
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার একমাত্র সীমান্তবর্তী এলাকা চরশাহী হওয়ায় সহজেই প্রবেশ করতে পারে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এই ইউপির আশেপাশে রয়েছে দিঘলী ও কুশাখালী ইউনিয়ন। চরশাহী হয়ে ইতিমধ্যে অনেক বহিরাগত লোকজন লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করে।আশঙ্কা করা হচ্ছে ভোটের পরিস্থিতি বেসামাল করতেই বহিরাগতদের প্রবেশ।
ওই ইউপির নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহানঙ্গীর আলম রাজু ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলজার মোহাম্মদের সমর্থকদের মাঝে শনিবার রাতে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহানঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, গোলজার মোহাম্মদ নোয়াখালী থেকে অস্ত্রধারী ক্যাডার ভাড়া করে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। সুষ্ঠ ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে
জয়লাভ করব।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলজার মোহাম্মদের লোকজন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বহিরাগত লোকজন এনে গোলজার মোহাম্মদকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের আধাঁরে হামলা চালায় নৌকার প্রার্থীর লোকজন। এতে হামলার শিকার হন গোলজারের ভাই। ভাড়া করা লোক দিয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাহানঙ্গীর আলম।