লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজীতে ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্র দখলে নিতে হামলা-গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধসহ দুজন আহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে চরগাজী ইউনিয়নের পূর্ব বয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা পালিয়ে যান বলে খবর পাওয়া গেছে।
গুলিবিদ্ধ আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আবদুর রব বেপারীর (মোরগ) ভগ্নিপতি ও আহত জাফর তার ভাগিনা। আহতরা চরগাজীর বয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ফরিদ (ফুটবল) প্রার্থী ও তার কর্মীরা এ হামলা চালিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ফরিদ তার বাহিনী নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করতে প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রব বেপারীর লোকজন টের পেয়ে যান।পরে আবদুর রব বেপারীর লোকজন বাধা দিলে ফরিদের লোকজন গুলি চালায়। গুলিতে আবদুর রব বেপারীর ভগ্নিপতি আজাদ ও তার ভাগিনা জাফর আহত হয়।
এ ঘটনায় আবদুর রব বেপারীর অনুসারীদের কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যানা যায়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ আজাদ উদ্দিন ও ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত জাফর আলীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবদুর রব ব্যাপারী জানান, কেন্দ্র দখলে নিতে ফরিদ হামলা চালিয়ে আমার ভগ্নিপতি ও ভাগিনাকে আহত করেছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমার তিনজন লোককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ফরিদ একজন জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে রামগতিসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে র্যাবের ওপর তার ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায়।
এ দিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ফরিদেরতার বক্তব্য নিতো তার মোবাইল ফোনে কোল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চরগাজি ইউপি ছাড়াও কমলনগরের চরকাদিরা, চরলরেন্স, চরমার্টিন ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে।