লক্ষ্মীপুরে বসিকপুর ইউনিয়নের রেজউদ্দিন চৌকিদার বাড়ির সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে শালীকার সাথে পরকিয়া প্রেম কাহিনী নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। পরকীয়া প্রেমের ইতি টানতে সোহাগ তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে এমন গুনজনও চলছে।
সুত্রে জানায়, উত্তর হামচাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের মনগাজী চৌকিদার বাড়ির সেকান্দর আলী মেয়ে মুন্নি আক্তারের (২৫) বসিকপুর ইউনিয়নের রেজউদ্দিন চৌকিদার বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে ডেকোরেশন ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। দম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের সাত বছরের মধ্যে সোহাগ তার আপন শ্যালিকা ইয়াসমিন আক্তা’র(১৮) এর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে। ইয়াসমিনের সাথে দুলা ভাই সোহাগের পরকিয়া জানাজানি হলে পরিবার অন্যত্বে ইয়াসমিনের বিয়ে ঠিক করে।
এতে শ্যালিকা-দুলা ভাই নিরুদ্দ্যেশ হয়ে যায় এবং এক মাস সংসার করে বাড়িতে ফিরে আসেন।
সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে গ্রাম্য সালিশেরা একাধিকবার বৈঠকে বসলে সোহাগ স্ত্রী মুন্নি আক্তারকে তালাক দিয়ে শ্যালিকা ইয়াসমিনকে নিয়ে সংসার করার সিদ্ধান্ত জানায়।
বিষয়টি হামছাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু, যুবলীগ সভাপতি সলিম উল্যাহ মাষ্টার ও বসিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জেহাদি কে জানিয়েছে ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করেছে পরিবার।
এ বিষয়ে সোহাগের শশুর শেকান্দার আলী বাদী হয়ে সোহাগ হোসেনকে বিবাদী করে মুন্নী আক্তারকে প্রথম সাক্ষী করে লক্ষীপুর সদর মডেল থানায় ১লা আগস্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে সোহাগের স্ত্রী মুন্নীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে মাতাব্বর নজরুল ইসলাম বাধা প্রদান করে।
ডেকোরেশন ব্যবসায়ী সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গুলো মিথ্যা অপপ্রচার। কিছু লোক আমার কাছে এক লক্ষ টাকা চাদা দাবি করছে। আমি চাদার টাকা না দেওয়াতে আমার শ্বশুরকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায়।