জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ এর উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় অনলাইন প্লাটফর্ম গুগোল মিটের মাধ্যমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের গৃহীত কর্মসূচিকালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কে জানো বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান অতিথি এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া ভাইস-চেয়ারম্যান রায়পুর উপজেলা পরিষদ বিশেষ অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আরো আলোচনা করেন প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আখতার হোসেন খান, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ জাবের হোসাইন, আইসিটি শিক্ষক সোহেল রানা। আরো উপস্থিত ছিলেন শফিউল আলম টিপু, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল হক প্রমুখ।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবসময়েই আপোষহীন। তিনি হলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি কোনোদিন ভাবতেও পারেননি, বাংলার বুকে তাকে হত্যা করা হতে পারে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সেদিন থামিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়েছিল।
কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। সময়ের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ আর কেবল স্বপ্ন নয়, এটি আজকের বাস্তবতা। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল। বাংলাদেশের বুকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও বিচার করা হয়েছে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমাদের দারিদ্র্য, দুর্নীতি, চিন্তার অনগ্রসরতা, অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলাদেশের বুক থেকে চিরতরে দূর করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কলঙ্কের দায়মোচন করতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের জন্য ‘মুজিববাদ’ যে একটি টনিকের মত, সেটি আমাদের বেশি বেশি করে বলতে হবে। আমাদের সবাইকে কাজে-কর্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। আমাদের কথা ও কাজে ভিন্নতা কাম্য নয়। বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রায় স্ব স্ব অবস্থান থেকে আমাদের সবাইকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে।’
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আমিন।
অনুষ্ঠানে১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের ঘৃণ্য আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি প্রার্থনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।