লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দাসেরহাট বাজারের একটি দ্বিতল ভবনের সেপটিক ট্রাংকের পয়ঃনিষ্কাষণের পাইপলাইন দেওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি খালের মধ্যে। পাইপ লাইনটি স্থানীয় বাজার ও দুইটি বিদ্যালয়ে পাশ দিয়ে স্থাপন করায় এলাকাবাসীসহ বাজারের ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ কাজল নামে ওই ভবনের মালিক ব্যাক্তি স্বার্থে পয়ঃনিষ্কাশনের পাইন লাইনের কাজ শুরু করেছেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপত্তির মুখে কাজটি এখন বন্ধ রয়েছে।
পয়ঃনিষ্কাশনের লাইনটির সংযোগ খালের মধ্যে দেওয়ায় পরিবেশের জন্য হুমকির মুখে পড়বে বলে জানায় এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চরশাহীর জগন্নাথপুর গ্রামের মীর বাড়ির মজিবুল হকের পুত্র কাজল দাসের হাট বাজারে ব্যাংক রোডের পশ্চিম পাশে অবস্থিত দ্বিতল ভবনের সেপটিক ট্যাংকের পয়ঃনিষ্কাষণের জন্য পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। লাইনটি সড়কের পাশে থাকা বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ভেতর দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে।এতে বাজারের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া খাল সংলগ্ন বাজারের পূর্বে পাশে রুপাচরা সফি উল্যা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জগন্নাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।
রুপাচরা সফি উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষাথীদের লেখাপড়া করে। একটি বাসাবাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ময়লা পানি নিষ্কাষণের পাইপ লাইন দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের মধ্যে। খালের পাশের জমি বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন। সেখানে ময়লা পড়লে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হবে। এছাড়া এলাকার পরিবেশ নোংরা হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও বাজার কমিটিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। পুলিশ এসে দেখে গেছে। এর পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় কয়েকজন লোক জানান, কাজল প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এ কাজটি করাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী বা বাজারের ব্যসায়ীদের ক্ষতি হলেও কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। খালের পাশে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। ভবনের ময়লা পানি এসে খালে পড়লে শুষ্ক মৌসুমে বসবাস করা ব্যাহত হবে।
এছাড়া দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ স্থান দিয়ে হাটাচলা করে। এতে পরিবেশ নষ্ট হবে বলে জানান তারা।
এদিকে, পাইপ স্থাপনের কাজে বাজার রাস্তা খোড়াখুড়ির কারণে রাস্তাটি সাময়িকভাবে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এতে ওই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিষয়টি বাজার কমিটির সভাপতি ও চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও এ বিষয়ে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো কাজলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাজ কি?
ভবনের মালিক কাজলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।